লেখক: ফারহানা ফ্লোরা
Sylhet MoulaviBazar Sadar.
ডেলিভারি চার্জ: 110
Service৭ দিনে রিটার্ন (বিশেষ শর্ত সাপেক্ষে ৭ দিনে রিটার্ন)
আমি প্রশ্ন করলাম- আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থীরা তো ভালো পাস করল। এবার স্কুলের শিক্ষকদের কোনো পুরস্কার দিবে তো? মুনিরা আপা বললেন, কে পুরস্কার দিবে? আমি বললাম, আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ! যারা স্কুলের খারাপ ফলাফলের জন্য তিরস্কার করেন, তারা! মুনিরা আপা বললেন, ভালো রেজাল্টের জন্য কিছুই নাই, আছে কেবল খারাপ করলে। আমি বললাম, "এটা তো ঠিক নয়! খারাপ করাটা যেমন শিক্ষকের ব্যর্থতা, ভালো ফলাফল করানো তো তেমনই শিক্ষকের কৃতিত্ব?" ফারহানা ফ্লোরার এই প্রশ্নটি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আঙুল দিয়ে কল্যাণের পথ প্রদর্শন করতে পারে। পরিশ্রম আর আন্তরিকতার মানদন্ডে বিবেচনা করে শিক্ষকদের পুরস্কার হিসেবে বাড়তি কোনো ইনক্রিমেন্ট কিংবা পদোন্নতির দিকে এগিয়ে দিলে শিক্ষকদের মধ্যে যে সুস্থ আর সুন্দরের একটা অনবদ্য প্রতিযোগিতা দেখা দিত, সেটাই এগিয়ে দিত রাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থাকে। শিক্ষাব্যবস্থার নীতিনির্ধারকগণ কি এই সত্যকে কদাচিৎ উপলব্ধি করবেন? একজন শিক্ষকের সুখ-বেদনা, প্রাপ্তি- আক্ষেপ, ক্ষমতা-অক্ষমতার দ্বন্দ্ব এবং উন্মুখ প্রান্তরে সীমাহীন সীমাবদ্ধতার এক অভূতপূর্ব গল্প চিত্রিত হয়েছে এই উপন্যাস কিংবা আত্মকথনের মধ্য দিয়ে। পাঠ করতে করতে একজন ব্যক্তি নিশ্চিতভাবে হারিয়ে যাবেন পরিচিত পরিমন্ডলের অরণ্যে।
ফারহানা ফ্লোরা, জন্ম ৭ সেপ্টেম্বর দিনাজপুর। মো. ফশিউর রহমান ও আনোয়ারা খাতুনের তৃতীয় সন্তান। শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িত আছেন দীর্ঘ একুশ বছর। বাবা-মা উভয়েই শিক্ষকতা পেশায় ছিলেন বলেই হয়তো শিক্ষকতাকে বেছে নেওয়া। উপজেলা পর্যায়ে তিনবার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। বিদ্যানুরাগী পরিবারে বেড়ে ওঠা ফারহানা ফ্লোরার। বাবা-মায়ের গড়ে তোলা সুবিশাল পাঠাগারে বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করতে গিয়েই আপন মনে লেখালেখি শুরু। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির সাথে জড়িত তিনি। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়, স্মারকগ্রন্থে লেখা প্রকাশিত হতে থাকে। রংপুর বিভাগীয় কবি পরিষদের একজন সম্মানিত সদস্য হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। দিনাজপুর 'পাতা সাহিত্য পরিবার' ও রংপুর বিভাগীয় লেখক পরিবারের সদস্য।