লেখক: অরুণ চন্দ্র দাস
Sylhet MoulaviBazar Sadar.
ডেলিভারি চার্জ: 110
Service৭ দিনে রিটার্ন (বিশেষ শর্ত সাপেক্ষে ৭ দিনে রিটার্ন)
চর্যাপদের উদ্ভবকাল থেকেই ভাটি দেশের কথা বাংলা সাহিত্যে বিশেষ গুরুত্ব লাভ করেছে। নদী কিংবা হাওর তাঁর তীরবর্তী মানুষের জীবনবোধে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। গ্রামীণ রাখালিয়া বাঁশি ও মাঝি-মাল্লার ভাটিয়ালি সুর ক্ষণিকের তরে হৃদয়ে দেয় সান্ত্বনা, জাগিয়ে তোলে এক গভীর অনুভূতি। নদী হয়তো ছোট একটি শব্দ, কিন্তু সেই শব্দকে ঘিরে রয়েছে কতো প্রশস্ত বাজনা। কখনো সখ্যতা কখনো বৈরিতা। এই নিয়ে নদী তীরের জীবন। আমাদের বাংলাদেশকে আমরা বলি নদীমাতৃক দেশ। বাংলাদেশের প্রবাহিত সব নদ-নদীই মিশেছে বঙ্গোপসাগরে। নদী আর মানুষের মধ্যে আত্মার এক অটুটবন্ধন রয়েছে। জীবনের সঙ্গে নদীর ঘনিষ্ঠতা থেকেই সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য কবিতা। অরুণ চন্দ্ৰ দাস ভাটির দেশের সন্তান। কবিতার শিকড়মূলে তিনি গেঁথেছেন সহজ-সরল জীবনের কথা যা পাঠে পাঠককূল ভাটির দেশে কখনো না গিয়েও নিতে পারবেন সেই মাটির ঘ্রাণ। সরল জীবনের গান কিংবা উদাসী হওয়ার মন্ত্র ভাটি অঞ্চল সবসময়ই আঁকে, এই গ্রন্থে সেই আঁকাটা অনবদ্য ভাবে এঁকেছেন কবি। নিশ্চয়তা দিয়েই বলা যায় কবিতা পাঠে আপনারা দেখবেন ভাটির ছবি। ভাটির দেশে মাটির ঘ্রাণ ISBN 978-984-94895-5-9
ভাটির দেশ সুনামগঞ্জ জেলার কালনী নদীর তীরবর্তী দিরাই উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে ১৯৬০ সালের ৩০ জুন জন্মগ্রহণ করেন অরুণ চন্দ্র দাস। কালনীর আফাল শৈশবে শিখিয়েছে লড়াই, কৈশোর কিংবা তারুণ্যে হাওর, নদী-তীরবর্তী মানুষের জীবনযাত্রা শিখিয়েছে মূল্যবোধ, যৌবনে বিদ্যাপীঠ দিয়েছে আলোকিত জীবনের দীক্ষা। অরুণ চন্দ্র দাসের শিক্ষা জীবনের হাতেখড়ি নিজ গ্রামের রাঙ্গামাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তারপর দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়, মদনমোহন কলেজ, মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। অর্থনীতি শাস্ত্রে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে কনিষ্ঠ তিনি। সহধর্মিনী অনিমা দাস একজন আদর্শ শিক্ষিকা। সুখের সংসারে রয়েছে এক পুত্র ও তিন কন্যা ৷ অরুণ চন্দ্র দাস ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বড়লেখা ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১২ সাল হতে মৌলভীবাজার জেলার ঐতিহ্যবাহী জুড়ী উপজেলার খ্যাতনামা বিদ্যাপিঠ তৈয়বুন্নেছা খানম একাডেমি ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত থেকে অবসর গ্রহণ করেন।