লেখক: প্রদীপ চক্রবর্তী
Sylhet MoulaviBazar Sadar.
ডেলিভারি চার্জ: 110
Service৭ দিনে রিটার্ন (বিশেষ শর্ত সাপেক্ষে ৭ দিনে রিটার্ন)
জায়গাটির নাম আনন্দপুর। সেখানে রয়েছে বিশাল এক জমিদারবাড়ি। তার ঠিক পূর্ব পাশে রয়েছে বাগানবাড়ি। এছাড়া বড় বড় বটগাছ, আমগাছ ও বিশাল একটা দীঘি এবং তার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে খরস্রোতা নদী । আর এ বাগানবাড়িটির ভেতর রয়েছে বেশ বড়সড় পুরনো দুটি কামরা। বাইরে থেকে অতিথি আসলে সেখানে রাত্রিবেলা থাকতে দেওয়া হয়। কিন্তু এ বাগানবাড়ি ও জমিদারবাড়ির গাছপালা ও কামরা জুড়ে যতসব ভূতুড়ে কাণ্ড। মাঝেমধ্যে ঘরের চারপাশ গাছের ডালে, গভীর রাত্রিতে ভূতপ্রেত চারদিকে ঘুরে বেড়ায়। তা আনন্দপুরের জমিদারবাড়ির জমিদার হরিবাবু ও তাঁর শ্যালক লালমোহন এবং রহমত আলী ব্যতীত কেউ জানেন না । এদিকে বিনু ও রাঘব দুই বন্ধু। তাদের বয়স প্রায় ১৬/১৭। রাঘব ছোটবেলা থেকে ভূতপ্রেত দেখার জন্য আগ্রহী ও ভূতপ্রেত ধরতে চায়। কিন্তু বিনু তা একেবারে বিশ্বাস করে না। দুজন কোন এক সন্ধ্যায় ভূতের সন্ধানে আনন্দপুরের বাগানবাড়িতে উঠলে কিন্তু একরাত্রিও ভালোভাবে দুজন ঘুমাতে পারেনি ভূতপ্রেতের ভয়ে। কেন ঘুমাতে পারেনি তাঁরা? কী আছে ঐ আনন্দপুরের জমিদার বাড়িতে? তবে কী রাঘব বিনু সত্যি সত্যি ভূতের সন্ধান পেয়ে গেলো? নাকি অন্য কোন অশুভ উপস্থিতি তাঁদেরকে ঘুমাতে দেয় না শান্তিতে? ভূত আছে এটাই যখন তাঁরা বিশ্বাস করে না সেখানে ভূতের উপস্থিতিতে এমন অবস্থা কেন রাঘব আর বিনুর? এ এক বিরাট রহস্য, আর এই রহস্য ভেদ করতেই রাঘব ও বিনু দুজনেই থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। আর তাঁদের উপস্থিতিতে ঘটে যাওয়া আনন্দপুরের জমিদার বাড়িতে রহস্যময় সেই কাহিনী নিয়েই লেখকের এই প্রয়াস । যে রহস্য বইটি পড়লে ভেদ করতে পারবেন সম্মানিত পাঠকবৃন্দ। আশা রাখি লেখকের পূর্বেকার বইয়ের মতো এই বইখানাও সাদরে গ্রহণ করবেন।
প্রদীপ চক্রবর্তী, জন্ম ১৯৯৭ সালের পহেলা ডিসেম্বর মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার অন্তর্গত ঘোলসা গ্রামে । পিতা দয়ানন্দ চক্রবর্তী, মাতা শিউলি চক্রবর্তী । বর্তমানে তিনি বড়লেখা সরকারি কলেজে স্নাতক শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। তাঁর কয়েকটি গল্প, রম্যগল্প, কবিতা, অণুকবিতা বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কলকাতা ইচ্ছেডানা স্টুডিও থেকে তাঁর অনেক কবিতা আবৃত্তি হয়ে চলছে নিয়মিত। এছাড়া তিনি “সোনেলাব্লগ” নামের একটি ব্লগে প্রতিনিয়ত লিখে আসছেন।