Sylhet MoulaviBazar Sadar.
ডেলিভারি চার্জ: 110
Service৭ দিনে রিটার্ন (বিশেষ শর্ত সাপেক্ষে ৭ দিনে রিটার্ন)
কবিতা যারা গড়েন তারা প্রতিক্রিয়া থেকে শব্দের দিকে অগ্রসর হন, অন্যদিকে কবিতাকে যারা পড়েন তারা শব্দ থেকে প্রতিক্রিয়ার দিকে ধাবিত হন। একজন গড়তে গড়তে বলেন আর একজন খুলতে খুলতে শুনেন। তবেই দু'পক্ষের মিল হয়। ধ্বংসাত্বক কাজের কোনো প্রকরণ হয় না। ধ্বংস সে কেবল ধ্বংসই। প্রকরণ হয় সৃজনের। সৃজন কতখানি সৃজন হতে পেরেছে, সুন্দর কতখানি সুন্দর হয়ে ওঠেছে এই প্রশ্নটা থেকেই যায়। আর এজন্যই সৃজনের এক অঘোষিত প্রতিযোগিতা চলছেই। আর সে প্রতিযোগিতার জন্যই জগতে এখনো আলোর বিচ্ছুরণ দেখা যায় । অপু দাস তেমনই একজন সৃজনের প্রতিযোগি। কবিতা রচনার মাধ্যমে তিনি সৃজনকে নিজের মননে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কবিতার ভেতর দিয়ে নিজের সকল অপ্রকাশিত ধ্যান, ধারনা, চিন্তা, চেতনা, বুদ্ধি, যুক্তি, স্বপ্ন ও সম্ভাবনাকে প্রকাশিত করার কার্যকে গ্রহণ করেছেন। সময়ের স্রোতে ভেসে না গিয়ে সেই সময়েরই ছবি আঁকার নিমিত্তে তিনি কলম হাতে নিয়েছেন। কাজটা বড় কঠিন, কাজটা বড় দুঃসাধ্য কিন্তু কাজটা বড়ই আনন্দের। এই আনন্দই জীবনের শক্তি, এ আনন্দই সম্ভাবনার বীজমন্ত্র। তাঁর কবিতায় আছে সেই আনন্দের আস্ফালন।
অপু দাস, ১৯৯৭ সালের ৩০ নভেম্বর মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়ন অন্তর্গত দ্বিতীয়ারদেহী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব কেটেছে গ্রামের বাড়িতে-এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওড় এলাকায় । পরবর্তীতে শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে সিলেট শহরে বসবাস শুরু করেন এবং বর্তমানে তিনি সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা এবং সংবাদকর্মী হিসেবে কর্মরত। পিতা- ইন্দ্রজিৎ দাস ও মাতা- অর্চনা রানী দাস। তিন ভাই-বোনের মধ্যে অপু সবার ছোট। বড়বোন চিকিৎসা পেশায় কর্মরত এবং বড় ভাই প্রবাসী। অপু দাস অতি অল্প বয়সেই সাহিত্য জগতে একজন উদীয়মান কবি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন । লেখার পাশাপাশি তিনি নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন আবৃত্তি, নাটক নির্মাণ ও অভিনয়ে।