লেখক: অসিত রঞ্জন দাস
Sylhet MoulaviBazar Sadar.
ডেলিভারি চার্জ: 110
Service৭ দিনে রিটার্ন (বিশেষ শর্ত সাপেক্ষে ৭ দিনে রিটার্ন)
ইংরেজ শাসনের অবসানে ১৮৫৭ সালে যে সিপাহী বিদ্রোহ শুরু হয় সেখানেও রয়েছে, লাতুর নাম, বড়লেখার নাম। বরাবরই লড়াই- সংগ্রামে এ মাটির সন্তানেরা জানবাজি রেখে লড়েছে। ভানুবিল কৃষক প্রজা আন্দোলন কিংবা নানকার বিদ্রোহ সর্বত্রই রয়েছে বড়লেখার বিদ্রোহী সন্তানদের পদচারণা। ন্যায়ের তরে অন্যায়ের প্রতিবাদে যেকোনো অধিকার আদায়ের বিষয়ে সোচ্চার এ জনপদের লোকজনেরা। একাত্তরের মুক্তি সংগ্রামে বড়লেখা ছিলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। বীরদর্পে রণাঙ্গনের রণকৌশলে বড়লেখার মুক্তিযোদ্ধারা রেখেছে অবদান। ভারতীয় সীমান্ত ছোঁয়া এ অঞ্চল ঘিরে যেমন রয়েছে প্রাকৃতিক সম্পদ তেমনি এ অঞ্চলের বিদ্রোহী মন ও মনন সম্পর্কে সকলেই জ্ঞাত। প্রগতির পথে প্রতিনিয়ত হাঁটছে বড়লেখা । প্রাকৃতিক লীলানিকেতন এই সবুজ-শ্যামল ভূমির বুকে কান পাতলে আজও শোনা যায় বিপ্লবী শ্লোগান, শহিদের রক্তে রঞ্জিত বড়লেখায় এখনও সজীব ন্যায়ের তুফান।
অসিত রঞ্জন দাস সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখার উপজেলার নিজবাহাদুরপুর গ্রামে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে ১৯৫৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। পিতা- অশ্বিনী কুমার দাস, মাতা- হিরন্ময়ী দাস। পিতা- মাতার আট সন্তানের মধ্যে সপ্তম। সত্তরের দশক হতে খুব থেকে তিনি দেখছেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক অদল-বদল। তিনি সমাজে সাম্য-শান্তি-একতা প্রতিষ্ঠায় নিজস্ব অবস্থান হতে নীরবে-নীভূতে লড়ছেন। শিক্ষকতা পেশার সাথে দীর্ঘদিন জড়িত ছিলেন। যুগপৎভাবে মিডিয়াকর্মী হিসেবে কর্মরত লেখালেখির সঙ্গে বসবাস দীর্ঘদিনের। বর্তমানে তিনি জাতীয় পত্রিকা দৈনিক সংবাদের বড়লেখা প্রতিনিধি ও বড়লেখা প্রেসক্লাবের সভাপতি।