Sylhet MoulaviBazar Sadar.
ডেলিভারি চার্জ: 110
Service৭ দিনে রিটার্ন (বিশেষ শর্ত সাপেক্ষে ৭ দিনে রিটার্ন)
মিশর থেকে বাজপাখি বন্ধুর সাথে ঢাকায় বসে ভিডিওকলে কথা বলছে প্রিয়ন্তি চৌধুরী চাঁদ। ডক্টর প্রিয়ম এবং ডক্টর সায়মার আদরের কন্যাসন্তানকে স্বাভাবিকভাবে বড় করতে চাইলেও তার অনেক আচরণ হুবহু মিলে যায় মেঘলা নামের এক অসাধারণ নারীর সাথে যাকে কখনও দেখেইনি চাঁদ। ফুলের সাথে, পাখির সাথে, প্রজাপতির সাথে এমনকি সায়মার গর্ভে থাকা অনাগত সন্ধানের সাথে সহজভাবে গল্প করতে পারে চাঁদ। মেয়ের পেছনে সর্বদা লেগে থেকে স্বাভাবিক আর অস্বাভাবিক আচরনের পার্থক্য বোঝাতে বোঝাতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে সায়মা। ৭ বছরের চাঁদকে তার অলৌকিক ক্ষমতার ব্যবহার কিংবা নিয়ন্ত্রণ বোঝানো কঠিন হলেও একদল উৎসাহী মানুষ লেগে গেল চাঁদকেই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেবার লক্ষ্যে। ৭ বছরের চাঁদ আর ওর যমজ ভাই মেহরাব যুদ্ধ করতে দাঁড়িয়ে গেল শক্তিশালী সেইসব প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ওদের পেছনে ঢাল হয়ে থাকলো পুরো পরিবার। এর মধ্যে একদিন হঠাৎ করে ফিরে পাওয়া গেল নিখোঁজ মাহিদকে। প্রিয়ম কি তবে নিজের জায়গা ছেড়ে দেবে মাহিদকে? চাঁদ আর মেহরাবই বা কোন পরিচয়ে পরিচত হবে মাহিদের সাথে? এদিকে ডক্টর সাজিদ পরিবারপ্রধান হয়ে কীভাবে চাঁদ কিংবা পরিবারকে রক্ষা করবেন ভিনদেশী শত্রুদের হাত থেকে? ঢাকার এক নামকরা ডাক্তার পরিবার যখন নিজ দেশের প্রশাসন থেকে নিরাপত্তার আশ্বাস পায় না তখন তারা বেঁচে থাকার জন্য কী করতে পারে? আকাশের চাঁদ কতবার মাটিতে পানিতে। নেমে আসবে চাঁদ নামের মেয়েটিকে বাঁচাতে? শেষ রক্ষ্য কী হবে নাকি উন্নত কোন দেশে গিনিপিগ হতে গিয়ে মেঘলার ভাগ্য বরণ করে নিতে হবে চাঁদকে? এত এত প্রশ্নের জবাব পেতে হলে আর দেরি না করে পড়তে শুরু করে দেন উপন্যাসটি।
সালেহা ফেরদৌস, জন্ম ২৮শে মার্চ টাংগাইল জেলার নাগরপুর উপজেলায়, তবে বাবার সরকারী চাকরীর সুবাদে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বেড়ে উঠেছেন। প্রাণীবিদ্যায় অনার্স শেষে এমবিএ করেছেন টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিংয়ে। পেশাগত জীবনে মার্চেন্ডাইজিং নিয়ে প্রচণ্ড ব্যস্ত থাকলেও গল্প লেখার নেশা তাকে মাঝে মধ্যেই পেয়ে বসে। তার গল্পের বই লেখার হাতেখড়ি হয় * আলো এনে দেবো' গল্পগ্রন্থ দিয়ে যার প্রকাশকাল ২০২১ বইমেলা। এরপর একে একে নিম্নবর্ণিত বিভিন্ন জনরার উপন্যাসগুলো উনার লেখার ব্যাপ্তি বাড়িয়েছে।